নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :  নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূয়া কাবিননামা ব্যবহার করে উপজেলার তারাব পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির খাঁন সুমেলকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে মাহমুদা আক্তার (৩২) নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। তারাব পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির খাঁন সুমেল বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দেন।

এছাড়া তিনি নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে একটি মামলা (মামলা নং ৩২৫/২১) দায়ের করেন।মনির খাঁন সুমেল মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করেন, তিনি একজন ব্যবসায়ী এবং তিনি তারাব পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

উপজেলার তারাব হাঁটিপাড়া এলাকার মনির হোসেনের মেয়ে মাহমুদা আক্তার উশৃঙ্খল ও খারাপ প্রকৃতির। মাহমুদা আক্তার সুকৌশলে সুমেলের ছবি সংগ্রহ করে ছবিতে নোটারি স্থাপন করে ভূয়া কাবিননামা তৈরী করে বিয়ের রেজিস্ট্রেশন করেন। মাহমুদা আক্তার তার নিজ নামে ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সুমেলের নামে অপ-প্রচার চালিয়ে তার মান সম্মান ক্ষুন্ন করছে। মাহমুদা আক্তার তার কাছে নগদ ১০ লাখ টাকা দাবী করে।

তার দাবিকৃত টাকা না দিলে মিথ্য মামলা দিয়ে সুমেলকে জেল হাজতে পাঠাবে বলে হুমকি ধামকি প্রদান করে এবং বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাহমুদা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মনির খাঁন সুমেলের সঙ্গে প্রতারণা করিনি বরং সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। মনির খাঁন সুমেল আমাকে গোপনে বিয়ে করে পাশ্ববর্তী আড়াইহাজার উপজেলার বান্টি পাঁচরুখী এলাকার আল-আমিনের বাড়িতে ভাড়া রাখেন।

সে সেখানে প্রায় সময় আসা যাওয়া করতো। আমি তার কাছে কোন টাকা দাবি করিনি বরং সে আমার কাছে টাকা দাবি করে। সে এখন আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছে না। এ কারণে আমি মনির খাঁন সুমেলের নামে গত সপ্তাহে আমি একটি যৌতুক মামলা দায়ের করি।

আমি একজন অসহায় নারী। মনির খাঁন সুমেল তার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীতেদর দিয়ে আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।